ঢাকা, রবিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

‘গতানুগতিক ধারা পাল্টে দেয় ইটিভি’ (ভিডিও)

মুশফিকা নাজনীন, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২২, ১৪ এপ্রিল ২০২২ | আপডেট: ১৩:৫৬, ১৪ এপ্রিল ২০২২

Ekushey Television Ltd.

নবজাগৃতির একুশে টেলিভিশনের শুরু রাজধানীর বনানীতে ১৯৯৮ সালে। অতঃপর ২০০০ সালে স্থানান্তর কারওয়ানবাজারে। একুশের দৃপ্ত পথরেখায় সেই কারওয়ানবাজার এখন মিডিয়া পল্লী। কিন্তু কেমন ছিল সেদিনের শুরুটা? 

সন্ধ্যে ৭টা, শুরু হবে সংবাদ। টিভি সেটের সামনে অপেক্ষমান কোটি দর্শক। এমনই ছিলো ২২ বছর আগে শুরু হওয়া একুশে টেলিভিশনের গল্প। 

সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, “একুশে টেলিভিশন যখন শুরু হয় তখন একটা স্বপ্ন ছিল, নতুন কিছু করা। টেলিভিশনে খবর পড়ার যে গতানুগতিক ব্যাপারটি পাল্টে দেওয়া হল।”

বনানীর ১৮ নম্বর ভবনে আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নের যে বীজ বপন হয়েছিল, তাই পরে ফুলে ফলে সুশোভিত হয়ে ঘ্রাণ ছড়ায় একুশে টেলিভিশন হয়ে। ২০০০ সালের ১৪ই এপ্রিল অর্থাৎ পয়লা বৈশাখে জাহাঙ্গীর টাওয়ারে যাত্রা শুরু পরিণত একুশে টিভির।

দেশের প্রথম বেসরকারি টেরিস্ট্ররিয়াল টেলিভিশন একুশে অল্পদিনেই জয় করে গণমানুষের মন। পিচ ঢাকা পথ ছাড়িয়ে একুশের স্লোগান পৌঁছে যায় গ্রাম-গঞ্জে কোটি কোটি দর্শক হৃদয়ে। 

দেশ ও দেশের বাইরে ক্লান্তিহীন ছুটে বেড়ায় একুশের নিবেদিতপ্রাণ সংবাদকর্মী। নতুন নতুন অনুষ্ঠানে মুগ্ধ হয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবু সায়ীদ মাহমুদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন সাইমন ড্রিংয়ের মতো পুরোধা সাংবাদিক। 

আবেদ খানের স্মৃতিচারণ, “এর মধ্যে অনেকের শ্রম ছিল, অনেকের দিবারাত্রি পরিশ্রম ছিল, চিন্তা-ভাবনা ছিল। প্রধান যে ব্যক্তি যাকে চিন্তা করে একুশ স্বপ্নটা তৈরি হয়েছিল তিনি হলেন সায়মন ড্রিংক। এএস মাহমুদ, তার ছেলে ফরহাদ মাহমুদ- এদের প্রতি অবশ্য আমাদের অনেক সম্মান এবং শ্রদ্ধা থাকবে।”

জনপ্রিয়তা যখন তুঙ্গে ঠিক তখন বিএনপি-জামায়াতের কূটকৌশলে ২০০২ সালের ২৯শে আগস্ট বন্ধ হয়ে যায় কোটি মানুষের ভালোবাসার একুশে। 

ঘাত-প্রতিঘাত ডিঙিয়ে ২০০৬ সালের ১ ডিসেম্বর আদালতের রায়ে সম্প্রচারের অনুমতি পায় একুশে টিভি। ২০০৭ সালে নতুন করে পর্দা ওঠে একুশের।

একুশের একুশ হওয়ার গল্প যেমন করে বলছিলেন ফুয়াদ চৌধুরী।

দীপ্ত টেলিভিশনের সিইও ফুয়াদ চৌধুরী বলেন, “ইটিভি যে যাত্রা শুরু করেছিল সেই যাত্রাকে ধরে রাখার জন্য আজকে ইটিভির সেদিনের লোকেরা ছড়িয়ে গিয়েছে। এখন ইটিভিতে যারা আছেন তাদেরও দায়িত্ব আছে, তাদের সেই গৌরবোজ্জ্বল পুরনো দিনে ফিরে আসতে হবে।”

একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশ মানে মুক্তবুদ্ধি আর তারুণ্যদীপ্ত চেতনার প্রত্যয়। শত বাধা উতরে তাই একুশে টেলিভিশন এগিয়ে যাবে স্বমহিমায়।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি