ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

হাতিয়ায় ইউএনওর প্রত্যাহার দাবিতে বিক্ষোভ-মানববন্ধন

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৬:০৩, ১০ মার্চ ২০২১

বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের চিত্র

বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের চিত্র

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) প্রত্যাহার দাবি করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা। আজ বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জানা যায়, একটি জন্ম সনদের আবেদন সত্যায়িত করার অপরাধে হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের প্রভাষক আজগর হোসেনকে গত মঙ্গলবার বিকালে নিজ অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে। এসময় ভুক্তভোগী শিক্ষককে একরকম অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে কলেজের উপাধ্যক্ষ তোফায়েল আহম্মেদ গিয়ে শিক্ষক আজগর হোসেনকে ইউএনওর কার্যালয় থেকে ছাড়িয়ে আনেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা রাতেই সোশাল মিডিয়াতে ইউএনওর বিরুদ্ধে বিভিন্ন  পোস্ট দিতে থাকে।

আজ বুধবার সকালে এ বিষয়ে হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা অবিলম্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরান হোসেনের প্রত্যাহার দাবি করেন। 

এসময় সমাবেশে ছাত্র-ছাত্রীরা ছাড়াও বক্তব্য রাখেন ইউএনওর হাতে লাঞ্ছিত হওয়া আরও এক ভুক্তভোগী, একটি আবাসিক হোটেলের বয় আজিম। বক্তারা তাদের দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচী দেওয়ার ঘোষণা দেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে লাঞ্ছিত কলেজ প্রভাষক আজগর হোসেন বলেন, কিছুদিন পূর্বে আমার এলাকার একটি ছেলে এসে আমার কাছ থেকে একটি জন্ম সনদের আবেদন সত্যায়িত করে নেয়। তাতে বয়সের একটি গরমিল ছিল বলে পরে আমি জানতে পারি। এই বিষয়ে গত মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন আমাকে তার কার্যালয়ে ডেকে নেন। সত্যায়িত করার বিষয়টি আমার ভুল হয়েছে বলার পর তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি তার অফিসের কর্তব্যরত আনসারকে দিয়ে আমার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সবশেষে তিনি আমাকে দিয়ে জোরপূর্বক আমার ভুলের জন্য একটি লিখিত কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে নেন। খবর পেয়ে আমার কলেজের উপাধ্যক্ষ তোফায়েল আহম্মেদ  গিয়ে আমাকে তার কার্যালয় থেকে ছাড়িয়ে আনেন। এই ঘটনায় আমি খুবই অপমানিত হয়েছি। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, কলেজ শিক্ষক আজগর হোসেন একটি ভুয়া জন্ম সনদের আবেদনে সত্যায়িত করেছেন। এই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে আরও উত্তেজিত হয়ে যায়। পরে তাঁর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে আমি ডেকে এনে বিষয়টি দেখায়। সেও বিষয়টি দেখে জন্ম সনদের আবেদনে সত্যায়িত করাটা ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন। পরে তারা চলে যান। এখানে কাউকে লাঞ্ছিত করা হয়নি।

এদিকে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন চলাকালীন বিপুল সংখ্যক পুলিশ রাস্তায় উপস্থিত ছিলেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি