ঢাকা, শনিবার   ২৩ আগস্ট ২০২৫

শেয়ারবাজার কারসাজিতে সাকিবের নাম 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৩৬, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৯:৪২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

সাকিব আল হাসান

সাকিব আল হাসান

Ekushey Television Ltd.

শেয়ারবাজার কারসাজি নিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক অনুসন্ধানে মোনার্ক হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সম্পৃক্ততার তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে।

ডিএসইর তদন্ত প্রতিবেদনে বেসরকারি ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারে ব্যাপক নয়-ছয়ের প্রমাণ মিলেছে। যার নেপথ্যে রয়েছেন দেশের শেয়ার বাজারে হিরো নামে পরিচিত আলোচিত বিনিয়োগকারী আবুল খায়ের। তিনি এবং তার স্বজনরা মিলে মাত্র ১৫ দিনের কারসাজিতে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেনে ১৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা মুনাফা তুলে নেন। নিজেদের মধ্যে শেয়ার কেনাবেচা করে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে এই মুনাফা তুলে নেন তারা।

জানা যায়, গত বছরের ১৫ থেকে ৩০ নভেম্বর ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার দর ৫৯ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়েছে এবং চলতি বছরের ৭ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত বিডিকম অনলাইনের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪৫ শতাংশ।

ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারের দামে বড় ধরনের উত্থানের সময় ব্যাংকটির উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার কেনাবেচার সঙ্গে ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান জড়িত ছিল বলে ডিএসইর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। 

জড়িতদের মধ্যে রয়েছেন আবুল খায়ের হিরো, তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান (মোনার্ক হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক), বাবা আবুল কালাম মাতবর, বোন কনিকা আফরোজ; তার সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠান ক্যান্ডেলস্টোন ইনভেস্টমেন্টস পার্টনার্স; ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান; শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি জেনেক্স ইনফোসিস, ফরচুন শুজ ও সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস; আবু নাসের দুলাল, খোরশেদ আলম এবং সানোয়ার খান। এর মধ্যে আবুল খায়ের হিরো, আবুল কালাম মাতবর, খোরশেদ আলমের একাধিক বিও হিসাব ব্যবহার করা হয়।

জানা গেছে, সাকিব আল হাসান, জেনেক্স ইনফোসিস, ফরচুন শুজ ও সোনালী পেপারের নামে শেয়ার কেনাবেচার কাজটি তদারকি করেছিলেন হিরো।

এ ঘটনার জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতি হিরোর বাবা ও তার সহযোগীদের ৩ কোটি টাকা জরিমানা করেছে। জরিমানার অর্থ আদায়ে বিএসইসির পক্ষ থেকে আদেশও জারি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম গণমাধ্যমে জানান, কারসাজির ঘটনায় জরিমানাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা একটি চলমান প্রক্রিয়া। কারও বিরুদ্ধে কারসাজির তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেলে আইন মেনে তা নিষ্পত্তি করা হয়। বাজারের শৃঙ্খলা ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় এ ধরনের ব্যবস্থা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। 

এমএম/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি