ছুটির দিনে জমজমাট বাণিজ্যমেলা
প্রকাশিত : ১৭:১৯, ১২ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২০:২৯, ১২ জানুয়ারি ২০১৮
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভীড়ে জমজমাট বাণিজ্যমেলা। হাজারো মানুষের মেলবন্দনে মেলার চারপাশের রাস্তায় তৈরি হয়েছে যানযট। টিকিট কাউন্টারেও জমেছে ভীড়। ভীড় উপেক্ষা করেও মেলায় ঢুকতে উচ্ছাসের যেন কমতি নেই। আগতদের কেউ ঘুরে ঘুরে দেখছেন, কেউবা পছন্দসই পণ্যটি কিনে নিচ্ছেন। ক্রেতাভীড়ে বেচা-বিক্রি বেশি হওয়ায় স্টল মালিক ও বিক্রেতাদের মুখেও হাঁসি। শুক্রবার ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ১২তম দিনে এ চিত্র দেখা যায়।
এদিন সরেজমিন মেলা ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড়ে মেলার ভেতর-বাহির একাকার হয়ে গেছে। এদিন দুপুর থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে। বিকাল ৩টার পর মেলা জমে উঠে পুরো মাত্রায়। মেলার ভেতরে যেন তিল ধরনের ঠাঁই ছিল না। শুধু মানুষ আর মানুষ। মানুষের ভিড়ে মেলার চারপাশের রাস্তায় ছিল প্রচন্ড যানজট। এই যানজট ফার্মগেট, আসাদগেট, আগারগাঁও পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এসব এলাকার যানবাহনগুলো একেবারে স্থির, কোথাও ধীর গতিতে চলে।এতে মানুষের ভোগান্তি বেড়ে যায়। মেলার প্রবেশ পথেও ছিল প্রচন্ড ভিড়। এ ছাড়া পার্কিং স্থানে ছিল অতিরিক্ত গাড়ির চাপ। ভিড় সামাল দিতে পুলিশ সদস্যদেরও বেগ পেতে হয়েছে। তবে মেলায় আগতদের ভীড় দেখে হাঁসি ফুটেছে বিক্রেতাদের মুখে। তারা এবার মেলায় অধিক বেচা-কেনা ও লাভের প্রত্যাশা করছে।
মেলায় মিরপুর থেকে সপরিবারে এসেছেন সরকারি চাকুরিজীবি আরাফাত রহমান। তিনি ছুটির দিনে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। বাচ্চাদের মেলার শিশুপার্কের বিভিন্ন রাইডে চড়িয়েছেন। তিনি বলেন, এবারের মেলা আগের বারের তুলনায় পরিচ্ছন্ন এবং সুসজ্জিত। বাচ্চাদের জন্য মেলার ভেতর শিশুপার্ক স্থাপন করার উদ্যোগে সন্তুষ্ট তিনি।
মেলায় পুরান ঢাকার বকশিবাজার থেকে আসা বেসরকারি চাকুরিজীবি সানজিদ রহমান জানান, তিনি মেলায় এসেছেন একটি টিভি কেনার জন্য। বিভিন্ন শো-রুম ঘুরে দেখছেন তিনি। তিনি বলেন, মেলায় এসেছি ভালো মানের একটি টিভি দেখতে। একই জায়গাই অনেক কোম্পানির পণ্য পাওয়া যায়। তাই ঘুরে ঘুরে দেখছি। পছন্দ হলে অর্ডার দিবো। বাসার কাছ থেকে কোন শোরুম থেকে ডেলিভারি নিব।
মেলায় সনি প্যাভিলিয়ননের ম্যানেজার মো. সারোয়ার জাহান চৌধুরী বলেন, মেলায় আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে ভালো ও নতুন মডেলের পণ্যের সঙ্গে দর্শনার্থীদের পরিচয় করে দেওয়া। কেউ যদি এখান থেকে পণ্য না কিনে শুধু পছন্দ করে। সেটাও আমাদের পাওনা। কেননা সে তো দেশের কোন না কোন শোরুম থেকে আমাদের পছন্দসই পণ্যটি কিনবেন।
তিনি জানান, এবার মেলায় অন্যবারের তুলনায় সাড়া বেশি মনে হচ্ছে। প্রচন্ড শীতেও দর্শনার্থীর সংখ্যা দিন গেলেই বাড়ছে। রাজনৈতিক বা অন্য কোন অপৃতিকর বিষয় না থাকায় মেলায় নির্ভিঘ্নে সবাই আসতে পারছে। তাই মেলায় এতো ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
মেলার আয়োজক রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)’র মেলা কমিটির সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, মেলায় এবার দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহীনীকে বিশেষ নির্দেশণা দেওয়া হয়েছে।অনেকগুলো সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।সে জন্য মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়লেও কোন সমস্যা হবে না।
আরকে//
আরও পড়ুন