ঢাকা, সোমবার   ২৫ আগস্ট ২০২৫

বিশেষভাবে সক্ষম মেয়ের জন্য ‘মা রোবট’ বানিয়ে ফেললেন দিনমজুর বাবা!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫৩, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

Ekushey Television Ltd.

মেয়ে বিশেষ ভাবে সক্ষম, নিজে হাতে খেতে পারে না। স্ত্রী খাইয়ে দিতেন মেয়েকে। পরে স্ত্রীও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমত অবস্থায় মেয়েকে খাইয়ে দেওয়ার জন্য নিজেই একটি রোবট বানিয়ে ফেললেন ভারতের গোয়ার বাসিন্দা, যিনি পেশায় দিনমজুর। স্বভাবতই এমন কাণ্ডে শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুরো রাজ্যে। ইতিমধ্যে চমকে দেওয়া সাফল্যের স্বীকৃতও পেয়েছেন ওই ব্যক্তি।

অসাধ্য সাধন করেছেন বিপিন কদম। বলা ভাল সংকটের পরিস্থিতি বিপিনকে আবিশ্বাস্য সৃষ্টিশীল করে তুলেছিল। প্রযুক্তি বিজ্ঞান সম্পর্কে যার কোনওরকম ধারনা ছিল না, তিনি কিনা বানিয়ে ফেলেছেন একটি রোবোট। এক সময় বিপিনের স্ত্রী খাইয়ে দিতেন বিশেষ ভাবে সক্ষম ১৪ বছরের মেয়েকে। কিন্তু পরে তিনিও অসুস্থতার কারণে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। এরপর মেয়েকে খাওয়ানো নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। বিপিন জানিয়েছেন, মেয়েকে খাওয়াতে না পেরে শুয়ে শুয়ে কান্নাকাটি করতেন স্ত্রী। দিনের শেষে বাড়ি ফিরে বিপিনই মেয়েকে খাওয়াতেন। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পথ খুঁজতে গিয়েই আশ্চর্য আবিষ্কার।

সংবাদমাধ্যমকে বিপন কদম জানিয়েছেন, যন্ত্রটি তৈরি করতে এক বছর সময় লেগেছে। তবে শুরুতে রোবট বানানোর কথা ভাবেননি। বরং ওই ধরনের যন্ত্রের খোঁজে ছিলেন, কিনবেন ভেবেছিলেন। যদিও হাজার খুঁজেও খাবার খাইয়ে দেওয়ার যন্ত্রের সন্ধান মেলেনি। এরপরই যন্ত্র নিয়ে পড়াশুনো শুরু করেন পেশায় দিনমজুর বিপিন। অনলাইনে রোবট গড়ার বিষয়ে তথ্য জোগাড় করেন। সেই মতো কাজে হাত দেন। এরপর সব কাজ ফেলে যন্ত্র তৈরিতে মগ্ন হন। একেক দিন একটানা ১২ ঘণ্টাও কাজ করেছেন।

শেষ পর্যন্ত ফল মেলে পরিশ্রমের। মেয়েকে খাইয়া দেওয়ার জন্য একটি রোবট বানিয়ে ফেলেন বিপিন। স্ত্রী ও সন্তানের সংকটের কথা মাথায় রেখে তার তৈরি রোবটের নাম দেন ‘মা রোবট’। যা দেখে তাক লেগে গিয়েছে সকলের। ইতিমধ্যে তার কীর্তিকে স্বীকৃতি দিয়েছে গোয়া স্টেট ইনোভেশন কাউন্সিল। এখন নিজের তৈরি রোবটটি বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছেন বিপিন কদম। যাতে করে তার মেয়ের মতো শারীরিক ভাবে অক্ষমদের কাজে লাগে সেটি। 

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি