ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৭ জুলাই ২০২৫

তামিমের ব্যাটে কুমিল্লার চতুর্থ জয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০০:০০, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

১৮২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনীতে তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়ের ১১৫ রানের জুটিতে জয়ের পথ সহজ হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। এরপর ৩৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে জুনায়েদ খানের তোপের মুখে পড়ে যায় ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নরা। শেষ দিকে থিসেরা পেরেরার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয় নিশ্চিত করে কুমিল্লা।

শেষ দিকে জয়ের জন্য কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল ২৪ বলে ২৯ রান। ১৭তম ওভারে ১ রানে ২ উইকেট তুলে নেন জুনায়েদ খান। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে পরাজয়ের দ্বার প্রান্তে থাকা খুলনা টাইটানস ফের জয়ের স্বপ্ন দেখে।

জয়ের জন্য শেষ ১৮ বলে কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। ১৮তম ওভারে লাসিথ মালিঙ্গাকে এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৯ রান আদায় করে নেন শহীদ আফ্রিদি।

শেষ ১২ বলে প্রয়োজন ১৯ রান। ১৯তম ওভারে জুনায়েদ খান ১১ রান খরচ করে তুলে নেন আফ্রিদি ও জিয়াউর রহমানের উইকেট।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল মাত্র ৮ রান। কার্লোস ব্রাথওয়েট শুরুতেই ওয়াইড দেন, প্রথম বল ডট, দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নেন সাইফউদ্দিন। তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকান থিসেরা পেরেরা। চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন পেরেরা।

খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে ১৮২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত খেলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। উদ্বোধনীতে ১১৫ রানের জুটি গড়েন তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়।

বিপিএলের চলমান ষষ্ঠ আসরে এর আগে উদ্বোধনীতে ১১৬ রানের জুটি গড়েন ডায়নামাইটসের দুই বিদেশি ক্রিকেটার হজরতউল্লাহ জাজাই ও সুনীল নারিন। বিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে এই রান করেন তারা।

সবশেষ দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়া তামিম, সিলেটের বিপক্ষে শুক্রবার অসাধারণ ব্যাটিং করেন। কোনো উইকেট না হারিয়ে ১১৫ রান করে কুমিল্লা। এরপর ১৪ রানের ব্যবধানে হারায় ৩ উইকেট।

লাসিথ মালিঙ্গার বলে ক্যাচ তুলে বিদায় নেয়ার আগে ৪২ বলে ১২টি চার ও এক ছক্কায় ৭৩ রান করেন তামিম। তার বিদায়ের পর অন্য ওপেনার বিজয় ফেরেন ৩৭ বলে ৪০ রান করে। চার নম্বর পজিশেন ব্যাটিংয়ে নেমে ১ রানে রান আউট শামসুর রহমান শুভ।

জুনায়েদের ফিফটিতে প্রথমে ব্যাট করে খুলনার সংগ্রহ ১৮১

জুনায়েদ সিদ্দিকীর ৪১ বলে গড়া ৭০ রানের ইনিংসে ভর করে ৭ উইকটে ১৮১ রান সংগ্রহ খুলনা টাইটানসের। এছাড়া দলের হয়ে ৩২ রান করেন আল-আমিন। চলতি বিপিএলে এটা তার প্রথম ম্যাচ। ২৯ রান করেন খুলনার ইংলিশ ক্রিকেটার ডেভিড মালান।

১৮২ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বাধীন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

শুক্রবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিং করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন খুলনা টাইটানস।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় খুলনা টাইটানস। শূন্য রানে সাইফউদ্দিনের বলে ক্যাচ তুলে দেন ওপেনার জহুরুল ইসলাম অমি। আগের চার ম্যাচে মাত্র ২৭ রান করেন খুলনার এই ওপেনার।

২ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর চলতি বিপিএলে প্রথম খেলতে নামা আল-আমিনকে সঙ্গে নিয়ে ৭১ রানের জুটি গড়ে দলকে খেলায় ফেরান অন্য ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী।

১৯ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৩২ রান করে শহীদ আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন আল-আমিন।

চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। জুনায়েদের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ২২ রানের ছোট জুটি গড়ে আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ।

এরপর চতুর্থ উইকেটে ডেভিড মালানের সঙ্গে ৫০ রানের কার্যকরী জুটি গড়েন জুনায়েদ সিদ্দিকী। ৪১ বলে চরটি চার ও সমান ছক্কায় ৭০ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন জুনায়েদ। চলতি বিপিএলে এটা তার প্রথম ফিফটি। এর আগে খুলনার হয়ে পাঁচ ম্যাচে (৩৩, ৩১, ২৩, ২০ ও ১৪) ১২৪ রান করেন।

জুনায়েদের বিদায়ের পর শহীদ আফ্রিদির তৃতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ২৫ বলে ২৯ রান করেন ডেভিড মালান। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ৪ ওভারে ৩৫ রানে ৩ উইকেট নেন আফ্রিদি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর

খুলনা টাইটানস: ২০ ওভারে ১৮১/৭ (জুনায়েদ ৭০, আল-আমিন ৩২, ডেভিড মালান ২৯; আফ্রিদি ৩/৩৫)।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৯.৪ ওভারে ১৮৬/৭ (তামিম ৭৩, বিজয় ৪০, ইমরুল ২৮, পেরেরা ১৮*; জুনায়েদ ৪/৩২ )।

ফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৩ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচসেরা: তামিম ইকবাল (কুমিল্লা)।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি