তাসকিন-মুস্তাফিজের তোপে ১১০ রানে অলআউট পাকিস্তান
প্রকাশিত : ২০:১৩, ২০ জুলাই ২০২৫

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তাসকিন-মুস্তাফিজদের সামনে রীতিমতো চোখে সর্ষে ফুল দেখেছেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। টাইগারদের তোপের মুখে কোনোরকমে একশ ছুঁয়ে অলআউট হয়েছে সফরকারীরা।
মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৯ ওভার ৩ বলে ১১০ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেছেন ফখর জামান। বাংলাদেশের হয়ে ২২ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস ওপেন করেন শেখ মেহেদি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই দলকে ব্রেকথ্রু এনে দিতে পারতেন তিনি। তবে তাসকিন আহমেদ সহজ ক্যাচ ফেলেছেন। তাতে ৪ রানে জীবন পান ফখর জামান।
ফখরের ক্যাচ মিসের মাশুল দিতে অবশ্য খুব বেশি সময় নেননি তাসকিন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই সায়িম আইয়ুবকে ফিরিয়েছেন এই পেসার। ৪ বলে ৬ রান করেছেন সায়িম।
পরের ওভারেই উইকেট পেয়েছেন মেহেদি। তিনে নামা মোহাম্মদ হারিস এই স্পিনারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কাউ কর্ণারে শামীম হোসেনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৩ বলে ৪ রান করেছেন তিনি।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে পরিবর্তন আনেন লিটন। আক্রমণে এসেই ব্রেকথ্রু দিয়েছেন তানজিম সাকিব। সালমান আলি আগাকে রীতিমতো বোকা বানিয়েছেন সাকিব। এই পেসারকে র্যাম্প স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ধরা পড়েন সালমান।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভার করতে এসে উইকেট পার্টিতে যোগ দেন মুস্তাফিজুর রহমানও। এই বাঁহাতি পেসারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে টপ এজ হয়ে থার্ড ম্যানে ধরা রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন হাসান নাওয়াজ। ডাক খেয়ে এই ব্যাটার ফেরায় ৪১ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
মিডল অর্ডারে সুবিধা করতে পারেননি মোহাম্মদ নাওয়াজও। রান আউটের শিকার হয়েছেন এই ব্যাটার। বাকিদের ব্যর্থতার দিনে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেছেন ফখর। ব্যক্তিগত ফিফটির পথেই ছিলেন তিনি। তবে রান আউটের শিকার হয়ে ৪৬ রানে থামতে হয়েছে তাকে।
৭০ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর খুশদিল শাহ ও আব্বাস আফ্রিদি মিলে ৩৩ রান যোগ করেন। এই জুটি ভেঙছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১০৩ রানে সপ্তম উইকেট হারানো পাকিস্তান অলআউট হয়েছে ১১০ রানে। ৭ রান যোগ করতেই শেষ ৩ উইকেট হারিয়েছে তারা।
তাসকিন আহমেদ ২২ রানে নেন ৩টি উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করে শিকার করেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট তানজিম হাসান সাকিব আর শেখ মেহেদী হাসানের।
এএইচ