ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪

স্বামীর পরকীয়া দেখতে গিয়ে ধর্ষিত গৃহবধূ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৮:০৩, ৩১ অক্টোবর ২০২০

স্বামীর পরকীয়া দেখানোর কথা বলে এক গৃহবধূকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর এলাকা থেকে বিশ বছর বয়সী ওই গৃহবধূকে অপহরণ করে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। 

পরিবারের জিডির ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর পোস্তগোলা এলাকা থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ। একইসঙ্গে শুক্রবার রাতে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় মাহফুজ নামে মূল অভিযুক্তকে রাজধানীর দোহার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। 

শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে পিবিআই-এর নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের এসপি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই পুলিশ সুপার আরও জানান, গত ২৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের এক গৃহবধূকে তার মোবাইলে ফোন করে শারমিন নামে এক নারী। ওই নারী গৃহবধূকে জানায়, তার স্বামীর সঙ্গে অন্য এক মেয়ের পরকীয়া সম্পর্ক আছে এবং তারা সেদিনই গোপনে বিয়ে করতে যাচ্ছে। শারমিন নামে সেই অজ্ঞাত নারীর কাছ থেকে এমন খবর পেয়ে ওই গৃহবধূ তার স্বামীর মোবাইলে কল দিয়ে ফোন বন্ধ পান। এতে তিনি বিচলিত হয়ে শারমিনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে শারমিন তাকে স্বামীর সন্ধান দেয়ার আশ্বাস দিয়ে কাঁচপুর মেঘনা সেতু এলাকায় যেতে বলে। 

শারমিন নামে ওই অজ্ঞাত নারীর কথামতো ওই গৃহবধূ সেখানে গেলে মাহফুজসহ আরও দুই তিনজন অজ্ঞাত যুবক তাকে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও গেণ্ডারিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে অপহরণকারীরা ওই গৃহবধূকে দোহার এলাকায় মাহফুজের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আটকে রেখে মাহফুজ তাকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে।

এদিকে, ২৯ অক্টোবর ওই গৃহবধূ নিখোঁজ হলে তার পরিবার সোনারগাঁও থানায় একটি জিডি করেন। সেই জিডি ও নিখোঁজ গৃহবধূর মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে নারায়ণগঞ্জ পিবিআই। প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর দোহার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাহফুজের বাসা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়।

পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে দোহার এলাকা থেকেই মাহফুজকে গ্রেফতার করে পিবিআই। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মাহফুজ স্বীকার করে যে, শারমিন নামের ওই অজ্ঞাত নারী তার বড় ভাই জসীমের স্ত্রী। তারা তিনজন মিলে পরিকল্পিতভাবে ওই গৃহবধূকে অপহরণ করে।

এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূর মা বাদী হয়ে মাহফুজ, তার বড় ভাই জসীম ও জসীমের স্ত্রী শারমিনকে আসামি করে সোনারগাঁও থানায় মামলা করেছেন। একইসঙ্গে গ্রেফতার মাহফুজকে তিনদিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানোসহ অপর দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পিবিআই এসপি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি