ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

ফিটনেসে সাকিবের সফলতার রহস্য ফাঁস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৪১, ১১ নভেম্বর ২০২০

সাকিব আল হাসান

সাকিব আল হাসান

দীর্ঘ এক বছর ক্রিকেট থেকে নির্বাসনের কারণে সাকিব আল হাসানের ফিটনেস নিয়ে সাধারণের মধ্যে শঙ্কা থাকলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্মকর্তা ও তার কোচরা বরাবরের মতই বলে আসছিলেন যে, তার ফিটনেস নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কোনও কারণ নেই।

অতীত অভিজ্ঞতা এবং সাকিবকে খুব কাছ থেকে দেখার কারণেই বিসিবি কর্মকর্তা ও কোচরা নিশ্চিত হয়েছিলেন যে, সাকিবের মধ্যে ফিটনেসের কোনও ঘাটতি নেই। বিপ টেস্টেই এর প্রতিফলন ঘটেছে। যেখানে বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার স্কোর করেছেন ১৩.৭। যেটি বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে অংশগ্রহণের সুযোগের জন্য ফিটনেস টেস্টে অংশ নেয়া ১১৩ ক্রিকেটারের মধ্যে সেরা।

কয়েকদিন আগে সাকিবের বাল্যকালের কোচ সালাউদ্দিন বলেছিলেন- ‘সাকিব ফের ক্রিকেট শুরু করায় আমি খুশি। আমি জানিনা যুক্তরাষ্ট্রে তিনি কি করেছেন। কিন্তু কিছুদিন আগে তিনি যখন এখানে এসেছিলেন তখন তার ফিটনেস খুব ভাল ছিল।

তিনি যদি যুক্তরাষ্ট্রে ফিটনেস নিয়ে কাজ করে থাকেন, তাহলে ফিটনেস টেস্টে পাস করার জন্য সেটি হবে দারুণ সুযোগ। তার খেলা নিয়েও আমি শঙ্কিত নই। আমি নিশ্চিত আজ হোক কিংবা কাল, তিনি আগের অবস্থানে ফিরে আসবেন।’

গত সেপ্টেম্বরে এই সালাউদ্দিন ও নাজমুল আবেদীন ফাহিমের তত্বাবধানে বিকেএসপিতে চার সপ্তাহের অনুশীলন ক্যাম্প সম্পন্ন করেছিলেন সাকিব। রুদ্ধদ্বারেই সম্পন্ন হয়েছে অধিকাংশ অনুশীলন। মূলত শ্রীলংকায় নির্ধারিত টেস্ট সিরিজের অন্তত দ্বিতীয় ম্যাচে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে এই ওই অনুশীলন ক্যাম্প করেছিলেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত অবশ্য স্থগিত হয়ে যায় ওই টেস্ট সিরিজ। ফলে অনুশীলন স্থগিত রেখেই ফের যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান সাকিব।

বিকেএসপিতে রুদ্ধদ্বারে সেই অনুশীলন সম্পর্কে কাউকে জানতে দেননি সাকিব। তবে নিজের ফিটনেস আগের আবয়বে ফেরাতে অনুশীলনের সময় বিকেএসপির অ্যাথলেটিকস কোচ আব্দুল্লাহ হেল কাফি ও বক্সিং কোচ আরিফুল করিমের সহায়তা নিয়েছিলেন তিনি।

ফিটনেস নিয়ে এই অ্যাথলেটিক কোচ ও বক্সিং কোচের সহায়তা নেয়ার মাধ্যমে নিজের সিরিয়াসনেস ও সৃষ্টিশীলতার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন সাকিব। অনুশীলনকে হাল্কাভাবে নেয়ার কারণে অধিকাংশ সময় সমালোচিত হয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু যখন তিনি অনুশীলনে যান তখন সেটি করেন পরিকল্পিতভাবে। ইনজুরির কারণে ২০১৮ ও ২০১৯ সালের কিছু ম্যাচ খেলতে পারেননি সাকিব। কিন্তু একবারের জন্যও নিজের অবস্থান থেকে সরে আসতে দেখা যায়নি তাকে।

২০১৯ সালের আইপিএলে সাকিব যখন সানরাইজার্স হায়দারাবাদের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না, তখন সেখানে সময় নষ্ট না করে ২০১৯ বিশ্বকাপের প্রতি জোর দেন তিনি। কোচ সালাউদ্দিনকে হায়দারাবাদে ডেকে নিয়ে কঠোর অনুশীলনে মনোনিবেশ করেন সাকিব। বিশ্বকাপে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে ওই অনুশীলনের পুরস্কার লাভ করেন টাইগার এই জিনিয়াস। সেখানে ৬০৬ রান সংগ্রহের পাশাপাশি সংগ্রহ করেছিলেন ১১ উইকেট। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সাকিব ছাড়া আর কোনও ক্রিকেটার ৫০০ এর অধিক রান ও ১০ এর অধিক উইকেট সংগ্রহ করতে পারেননি।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি