ঢাকা, বুধবার   ০১ মে ২০২৪

ভারতকে হারিয়েই উৎসব করতে চায় বাংলাদেশ!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৪৩, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৫:৪৭, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল

প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপকে ৩-০ ব্যবধানে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। এরপর রোববার সকালে কাঠমান্ডুর আর্মি হেডকোয়ার্টার্স মাঠে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ নারী দলের সদস্যরা। কারণ পরের ম্যাচেই যে তাদেরকে লড়তে হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে। 

যদিও কোচ বলেছেন এটি ছিল রিকভারি সেশন। বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানীর ছোটন বলেন, ‘এখনই কোনও আত্মতুষ্টি নয়। এটা মেয়েরা জানে। ২০১৫ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতার পরও কোনও উৎসব করেনি মেয়েরা। এবারও তাই।’ 

ভারতকে হারিয়েই উৎসব করার ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ।

কারণ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে কখনোই ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। সাতবারের মোকাবেলায় একবারই মাত্র তাদের রুখে দিতে পেরেছিল। বাকি ছয়বারই হারতে হয়েছে লাল সবুজদের। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আগের পাঁচ আসরেই শিরোপা জিতেছে ভারত। এবারও একই লক্ষ্য তাদের।

তবে সাবিনাদের স্বপ্ন ভারত বধের। চলতি আসরে এ-গ্রুপের দল দুটি এর আগে দু’টি করে ম্যাচ জিতেছে। সমান ছয় পয়েন্ট করে সংগ্রহ করেছে দল দুটি। তবে গোল পার্থক্যে ভারত (+১২) এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের (+৯) চেয়ে। 

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠেয় গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভারতে হারিয়ে এ- গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হতে পারলেই বি-গ্রুপের সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন শক্তিশালী নেপালকে এড়ানো যাবে। যে কারণে ভারতকে হারানোার জন্য মুখিয়ে আছে সাবিনারা।

তবে এই স্বপ্ন পূরণ খুব একটা সহজ হবে না। রোববার মালদ্বীপের বিপক্ষে জয়লাভের পর ভারতীয় কোচ সুরেন ছেত্রী বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচটি জিতে নিতে চাই আমরা। চেষ্টা থাকবে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে সুবিধা আদায়ের। এই মুহুর্তে আমরা সুবিধাজনক অবস্থানে আছি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ড্র করতে পারলেই আমরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারব। সুতরাং এখন থেকেই বাংলাদেশ চাপে পড়ে গেছে।’

এদিকে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘গত দুই ম্যাচে সাবিনারা যে ফুটবল খেলেছে, তাতে আমার মনে হয়, আমাদের বিপক্ষে যে কোনও দলই চাপে থাকবে।’

আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, ‘আমরা মালদ্বীপের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচ দেখেছি। বিরতির আগে চার গোল দিয়েছিল তারা। কিন্তু দ্বীপ দেশটির গোলরক্ষক আমিনাথ লিজা ইনজুরিতে পড়ার পরও মাঠ ছাড়েনি। ওর জন্যই এতগুলো গোল (৯-০ গোল) হজম করেছে মালদ্বীপ। এতে বাড়তি সুবিধা আদায় করে নিয়েছে ভারত। সমান পয়েন্ট থাকলেও গোল পার্থক্যে আমাদের চেয়ে এগিয়ে গেছে।’

নিজেদের এই স্বপ্ন পূরণ করতে তাই মাঠের সেশনে না গিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতেই দেখা যায় সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, আঁখি খাতুন ও রুপনা চাকমাদের। 

এ প্রসঙ্গে সাবিনা খাতুন বলেন, ‘আমরা আসলে (ভারতকে হারিয়ে) নিজেদের স্বপ্ন পূরণের জন্য পরস্পরকে কিভাবে সহযোগীতা করা যায়, সেটি নিয়েই কথা বলেছি।’

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারতের মেয়েরা।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি