ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সিলেট থান্ডার্সে কাঁপছে খুলনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান আন্দ্রে ফ্লেচার

এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান আন্দ্রে ফ্লেচার

অবশেষে বড় রান পেলেন আন্দ্রে ফ্লেচার। শুধু রানই নয়, রীতিমত রান বন্যা ছুটালেন বিস্ফোরক এই ওপেনার। উপহার দিলেন আসরের প্রথম সেঞ্চুরি। পাশাপাশি বিধ্বংসী এক ইনিংস খেললেন সতীর্থ জনসন চার্লস। দুই ক্যারিবিয়ানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় খুলনা টাইগার্সকে বিশাল রানের চ্যালেঞ্জ দিল সিলেট থান্ডার্স।

আজ শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে ২৩২ রান করেছে সিলেট। বিপিএলের ইতিহাসে যা চতুর্থ সর্বোচ্চ স্কোর। 

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৩ ওভারে খুলনার সংগ্রহ পাঁচ উইকেটে ১১১ রান। ক্রিজে আছেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক ১৭ রানে ও মেহেদী মিরাজ। 

জবাব দিতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় খুলনা। আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজকে (০) তুলে নেন মনির হোসাইন। ফলে বড় রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় মুশফিকের দল। যদিও দ্বিতীয় উইকেটে সাইফ হাসানকে নিয়ে সেই ধাক্কা সামলে নেন রাইলি রুশো। ৭৫ রানের এই জুটি ভাঙে দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে। 

২০ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাইফ হাসান। এরপরই ফিরে যান ফিফটি তুলে নেয়া রুশোও। নাভিন উল হকের শিকার হয়ে ফেরার সময় ৩২ বলে ৫২ রান করেন তিনি। তার এ ইনিংসে ছিল সমান চারটি করে চারের মার। আগের ম্যাচে ভাল করলেও বড় এ ম্যাচে ব্যর্থ হন শামসুর রহমান শুভ। মাত্র ৭ করে ফেরেন মনিরের দ্বিতীয় শিকার  হয়ে।  

এদিন টস জিতে সবাইকে চমকে দিয়ে ফিল্ডিং নেন খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তার এই চমকে প্রথম ওভারেই রোমাঞ্চ আরও বাড়িয়ে দেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক। আসরে প্রথমবারের মতো ব্যাট করতে নামা ওপেনার আব্দুল মজিদ ফিরে যান ওই ওভারেই।

তবে এর পরেই উল্টো চমক দেখতে শুরু করেন মুশফিকের দল। কেননা ক্রিজে গিয়েই ঝড় তোলেন জনসন চার্লস। তাতে দারুণ সঙ্গ দেন ফ্লেচার। দুই ক্যারিবিয়ান টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং তাণ্ডবে সিলেটের স্কোর ছুটতে থাকে লাফিয়ে লাফিয়ে।

এরইমধ্যে মাত্র ২৫ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন চার্লস। একইসঙ্গে ২৮ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করা জুটি তিন অঙ্কে যায় ৫২ বলে। জুটির পরের পঞ্চাশ আসে আরও দ্রুত, মাত্র ১৭ বলেই।

১৩তম ওভারে চার্লসকে এলবিডব্লিউ করে ৭০ বল স্থায়ী ১৫০ রানের জুটি ভাঙেন শহিদুল ইসলাম। চার্লস ফেরেন ৩৮ বলে ১১ চার ও পাঁচ ছক্কায় ৯০ রানের ইনিংস খেলে। দুই ক্যারিবিয়ানের এমন জুটির পরও সাজানো মঞ্চ কাজে লাগাতে পারেননি তিন বাংলাদেশি মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন ও নাজমুল হোসেন মিলন। আউট হন যথাক্রমে ৩, ১১ ও ১১ করে।

তবে নিজের সেঞ্চুরির লক্ষ্যে ঠিকই পৌঁছে যান ফ্লেচার। ১৯তম ওভারে মোহাম্মদ আমিরকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফ্লেচার ছাড়িয়ে যান এবারের আসরে সর্বোচ্চ (মুশফিকের ৯৬) রান। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি। ৫৩ বলে তিন অঙ্ক ছোঁয়া ফ্লেচার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে। তার ৫৭ বলের ইনিংসটিতে ছিল পাঁচ ছক্কা ও এগারটি চারের মার।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি