ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০০:০৫, ২ অক্টোবর ২০২০

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গ্রাফিক্স ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলা ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা ছাত্রীর যৌন হয়রানির মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নগরের চন্দ্রিমা থানার এসআই রাজু আহমেদ রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে শুনানীর জন্য আগামী ১১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।

চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৩ জন ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানুর কাছে অধ্যাপক আমিরুল মোমনীনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিকভাবে উত্ত্যক্ত করার লিখিত অভিযোগ করেন। এর দুইদিন পর ২৮ ফেব্রুয়ারি অভিযোগকারী ছাত্রীদের মধ্যে একজন নগরের চন্দ্রিমা থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হায়রানির মামলা করে।

বাদীর করা এজহারের অভিযোগের কোন সত্যতা না পাওয়ায় আসামি আমিরুল মোমেনীন চৌধুরীকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাজু আহমেদ। তিনি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, মামলার বাদীর এজহার নামীয় চারজন স্বাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কেউ এজহারে বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান। 

তারা ওইদিন ঘটনাস্থলে আসামি আমিরুল মোমনীন চৌধুরীকে দেখেননি এবং তাদেরকে না জানিয়ে মামলার স্বাক্ষী করা হয়েছে উল্লেখ করে রাজশাহী নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে হাজির হয়ে এফিডেভিট করেছেন। এছাড়াও ঘটনাস্থল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ভবন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা কেউই এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়- এজাহারে বর্ণিত সময়ে আসামি উদয়ন নার্সিং কলেজে ২০১৯ সালের বিএসসি ইন নার্সিং পরীক্ষায় পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ফলে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহার দায়ের করায় উক্ত মামলা থেকে আসামিকে অব্যাহতি প্রদানের প্রার্থনা করা হয়।

এসআই রাজু আহমেদ বলেন, বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। কিন্তু এজাহারে বর্ণিত অভিযোগের ন্যূনতম সত্যতাও পাইনি। এজন্য গত মঙ্গলবার আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে মামলা থেকে আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেছি। প্রতিবেদনের সঙ্গে বিভাগের সভাপতিসহ ১১ জন শিক্ষক, ৭ জন শিক্ষার্থীসহ ২০ জন স্বাক্ষীর জবানবন্দী যুক্ত করা হয়েছে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফয়সাল নয়ন বলেন, আদালত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করে নিয়ম অনুযায়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়েছেন। আগামী ১১ অক্টোবর সেখানে শুনানি হবে। তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা হওয়ায় আসামির অব্যাহতি প্রদান এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি