সেই বিশাল হৃদ এখন শুকিয়ে মরুভূমি
প্রকাশিত : ১১:৩৯, ১৭ জুন ২০২২ | আপডেট: ১১:৪৭, ১৭ জুন ২০২২

এখন অনেকেরই হয়ত বিশ্বাস হবে না যে, চিলির ভালপারাইজো শহরে একসময় এমন এক হৃদ ছিল, যা ছোট ছোট করে ভাগ করে দিলে অনায়াসে অলিম্পিক গেমসের ৩৮ হাজার সুইমিং পুল হয়ে যেত। যুগেরও বেশি সময়ের খরায় সেই পেনুয়েলাস লেকটি এখন শুকিয়ে মরুভূমি।
এখন সেখানে পানি একেবারে নেই বললেই চলে। আগে যেখানে ৩৮ হাজার সুইমিং পুলের পানি ছিল, এখন টেনেটুনে দুইটি সুইমিং পুলও হবে কিনা সন্দেহ। পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নানা ধরনের মাছ মরে, শুকিয়ে কঙ্কাল হয়ে পড়ে আছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে।
এত বড় লেকটি হঠাৎ শুকিয়ে যায়নি। ১৩ বছর ধরে খরা চলছে ভালপারাইজোতে। ওদিকে আন্দিজ পর্বতেও পড়েছে উষ্ণায়নের প্রভাব। আগে সেখানের বরফ গলে জলধারা নেমে আসতো ভালপারাইজোর দিকে। বহুদিন হলো আন্দিজের বরফগলা পানি সেভাবে আর আসে না। গরমে বরফ দ্রুত শুকিয়ে বাষ্প হয়ে উড়ে যায়, জলধারা হওয়ার সুযোগই পায় না।
এখনও দূর-দূরান্ত থেকে অনেক প্রাণী পেনুলেয়াসে আসে একটুখানি পানির আশায়। কিন্তু তৃষ্ণা মেটাতে না পেরে হতাশ হয়েই ফিরতে হয় তাদের।
পেনুয়েলাসের কাছেই থাকেন আমান্ডা কারাসো নামের এক ব্যক্তি৷ তার স্পষ্ট মনে আছে একসময় বরশি ফেলে কত পেজেরে মাছ ধরেছেন তিনি এই লেক থেকে। কিন্তু এখন পানি না থাকায় সেই মাছের হাজারো কঙ্কাল শুকিয়ে পড়ে আছে হৃদের চারপাশে।
ভালপারাইজো শহরে পানি সরবরাহ করে ইএসভিএএল নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার হোসে লুই মুরিলোও নিজের চোখে দেখেছেন একসময়ের কাজলকালো পানির আধার পেনুয়েলাসকে শুকাতে শুকাতে অতি ক্ষুদ্র এক ডোবা হয়ে যেতে।
শুকিয়ে যাওয়া পেনুয়েলাসের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কয়েক দশক আগে পুরো ভালপারাইজোর পানির একমাত্র উৎস ছিল এই পেনুয়েলাস। অথচ এখন ভালপারাইজো পুরোপুরি নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল।’’
সূত্র: ডয়চে ভেলে
এমএম/
আরও পড়ুন