ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

পরিসংখ্যানের পাতায় অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সিরিজ

নাজমুশ শাহাদাৎ

প্রকাশিত : ১৬:০৫, ১০ আগস্ট ২০২১ | আপডেট: ১৬:১১, ১০ আগস্ট ২০২১

সাকিবকে ঘিরে উদ্বেলিত টিম বাংলাদেশ

সাকিবকে ঘিরে উদ্বেলিত টিম বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ে সফরের পর বাংলাদেশ স্বপ্নের মতো শেষ করলো আরও একটা সিরিজ। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সোনার হরফে লেখা থাকবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো খেলা ৫ ম্যাচের এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজটি। 

আদতে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে অজিদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাওয়াই কঠিন। সেই ক্যাঙ্গারুদের ঘরে ডেকে এনে তুলোধুনো করে ছেড়েছে টাইগাররা। অজিদের বিপক্ষে ব্যাটে বলে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ দল। পরিসংখ্যানের পাতায় কেমন ছিলো এই সিরিজ, তা-ই থাকছে এই প্রতিবেদনে।

প্রথমবারের মতো খেলা এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হারলেও ব্যাট হাতে সফল ছিলেন অজি অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। রান সংগ্রহে সবার উপরেই আছে তাঁর নাম। পাঁচ ম্যাচে মার্শের ব্যাট থেকে এসেছে ৩১.২০ গড়ে ১৫৬ রান। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের নিউক্লিয়াস সাকিব আল হাসান।

সিরিজটা অবশ্য বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ অজিদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে অনন্য এক কীর্তি গড়েছেন সাকিব। টি-টয়েন্টিতে বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এক হাজার রানের সঙ্গে একশো উইকেট শিকারের মালিক এখন টাইগার অলরাউন্ডার।

সিরিজে ব্যাট হাতে ২২.৮০ গড়ে করেছেন ১১৪ রান। তৃতীয় স্থানে থাকা আফিফের ব্যাট থেকে এসেছে ২৭.২৫ ১০৯ রান। আর চার ও পাঁচে থাকা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট থেকে এসেছে সমান ৯১ করে রান।

সিরিজে বল হাতে অজি পেসার হ্যাজলউডের সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়েছেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। চার ম্যাচে ৮৫ রান দিয়ে ৮ উইকেট নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন জশ হ্যাজলউড। তাঁর চেয়ে একম্যাচ বেশি খেলা নাসুম ৯২ রান দিয়ে সমান সংখ্যক উইকেট নিয়ে আছেন দুই নম্বরে। পুরো সিরিজেই আলো ছড়িয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই বাঁহাতি স্পিনার। আগামীতে জাতীয় দলে জায়গাটাও করে নিলেন পাকাপোক্ত।  

বোলিংয়ের তিন নম্বরে আছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ। সুযোগ পাওয়া সাইফুদ্দিন ও সাকিবের তাণ্ডবে শেষ ম্যাচে উইকেট না পেলেও দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৬০ রান দিয়ে ফিজের সংগ্রহ ৭ উইকেট। সমান সংখ্যক উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজের পরেই আছেন শরিফুল ও সাকিব। তবে পাঁচ ম্যাচে ১২৭ রান দেয়া সাকিবের থেকে একটা ম্যাচ কম খেলেছেন তরুণ বাঁহাতি পেসার।

এদিকে, এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। সিরিজ জেতার ম্যাচে সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলেন টাইগার অধিনায়ক। ৫১ রান নিয়ে তাঁর পরেই আছেন মিচেল মার্শ। আর একই ইনিংসে বল হাতে আধিপত্যটাও টাইগারদের। শেষ ম্যাচে ৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সবার উপরে আছেন সাকিব আল হাসান।

১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আরেক বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। প্রথম ম্যাচেই এমন বোলিং করেন নাসুম। আর সমান ১২ রান করে দিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে সোয়েপসন ও সাইফুদ্দিন। 

অন্যদিকে ব্যাট হাতে ২ রান বেশি করলেও উইকেটের পিছনের পারফর্ম্যান্সে সমানে সমান অজি অধিনায়ক ম্যাথিউ ওয়েড (৪২ রান) ও টাইগার কীপার নুরুল হাসান সোহান (৪৪)। দুজনেই একটি করে স্ট্যাম্পিংয়ের সঙ্গে নিয়েছেন ২টি করে ক্যাচ।

এছাড়া এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ও মোট পাঁচটি ছক্কা নিয়ে সবার ওপরে আছেন ৪৯ রান করা ড্যানিয়েল ক্রিশ্চিয়ান। ৪টি ছক্কা নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আফিফ হোসাইন। আর ১৬টি চার মেরে সবার ওপরে আছেন মিচেল মার্শ, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২টি চার মেরেছেন টাইগার নিউক্লিউয়াস সাকিব আল হাসান।

আর দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংসের দিক থেকেও সেরা অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের করা প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে করা সেই ১৩১ রানই সিরিজের টপ স্কোর। বিপরীতে সর্বনিম্ন স্কোরটি অস্ট্রেলিয়ারই, শেষ ম্যাচে মাত্র ৬২ রানে অলআউট হয়ে রেকর্ড বুকে নাম লিখিয়েছে অজিরা। সেইসঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি ৯ সাক্ষাতের ব্যবধান কমিয়েছে বাংলাদেশ। এই সিরিজ শেষে এখন দুই দলের ব্যবধান ৫/৪। 

আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজেও টাইগাররা এর থেকে ভালো পারফর্ম করবে বলেই ভক্ত ও সমর্থকদের আশা।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি